November 2, 2024, 8:16 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়া চিনিকলের সাবেক ব্যব¯’াপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম সারওয়ার মুর্শেদের পদাবনতি হয়েছে। সিবিএ নেতাদের সঙ্গে যোগসাজশে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে এ শাস্তি দেওয়াহয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া চিনিকলের বর্তমান ব্যব¯’াপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান খান।তিনি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্পসং¯’ার চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপুর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি পত্র প্রাপ্তির কথা জানান।
রাকিবুর রহমান খান জানান গোলাম সারওয়ার মুর্শেদেকে চাকুরী তৃতীয় গ্রেড থেকে চতুর্থ গ্রেডে নামিয়ে দেওয়াহয়েছে। বর্তমানে তিনি প্রধান কার্যালয়ের প্রধান সিপিই পদে কর্মরত রয়েছেন।
২০২০ সালের ১৮ নভেম্বরচিনিকল থেকে চিনি চুরির দায়সহ বেশকিছু অপরাধ সংঘটনের কারনেতৎকালীন ব্যব¯’াপনা পরিচালক গোলাম মুর্শেদ, চিনিকলের সিবিএ সভাপতি ফারুক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমানকে একযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
পরে গোলাম সারওয়ার মুর্শেদকে ২০২০ সালের নভেম্বরে প্রধান কার্যালয়ের প্রধান সিপিই পদে বদলি করা হয়েছিল।
তিনি বর্তমান পদ থেকে আগামী২৫ জুন অবসর গ্রহণ করবেন।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, গোলাম সারওয়ারের বিরুদ্ধে চিনিকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি ও বিভিন্ন মালামাল সরবরাহকারীদের বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিধিবহির্ভূতভাবে রেজুলেশন করে ৪ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র ভাঙানো, চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ভেঙে অর্থ চিনি ব্যবসায়ীদের প্রদান, মিলের অবসরপ্রাপ্তদের প্রভিডেন্টফান্ডের অর্থ প্রদানকালে ১৩ শতাংশ হারে ঘুষ আদায়সহ আরও কিছু অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগ আনা হয়২০১৬ সালে মিলের শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৫ কোটি টাকা ৫ বছর মেয়াদি জাতীয় সঞ্চয়পত্র কেনা হয়। একই দিনে মৌসুমি শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৫০ লাখ টাকার একই সঞ্চয়পত্র কেনা হয়। ২০১৮ সালে ¯’ায়ী শ্রমিকদের ৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্রের মধ্যে ১ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। ১ কোটি টাকার কোনো লভ্যাংশনা দিয়ে নিজেরা ভাগ করে নেন।
বলা হয় তিনি এভাবে এই খাত থেকে নিজে৪৫ লাখটাকা হাতিয়ে নেন।
আরও অভিযোগ রয়েছে তিনি মিলের ৬০ টাকা কেজি দরে প্রায় ৩ কোটি টাকার চিনি‘ফ্রি সেলে’ ৫২ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করে দেন। এতে বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়ে কুষ্টিয়া সুগারমিল। লোকসানের ওই টাকা সমন্বয়ের নামে মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের ও বেতন থেকে টাকা কর্তন করে নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে নেন।
বিষয় গুলো সামনে এলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্পসংস্থা কয়েক দফা বিভাগীয় তদন্ত পরিচালনা করে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এদিকে একই সময়ে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্পসংস্থার চিফ অব পার্সোনাল মো. রফিকুলইসলাম স্বাক্ষরিতঅঅরেক আদেশে অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত মিলের সিবিএস সভাপতি ফারুক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চলমান বিভাগীয় মামলাটি দ্রত নিষ্পত্তি করার কথা বলা হয়েছে বলে মিলের বর্তমান ব্যাবস্থাপনা পরিচালক জানান।
বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রক্রিয়া শুরু করেছেন এবং খুব দ্রত বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
Leave a Reply